আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস

1874
Advertisement

 

‘ক্রীড়ায় শান্তির সমাবেশ, উন্নয়নে বাংলাদেশ’Ñ সেøাগান নিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস পালন করতে যাচ্ছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম থেকে বর্ণিল র‌্যালি শুরু হয়ে শেষ হবে এনএসসি টাওয়ারে। থাকবেন ক্রীড়াবিদ-সংগঠকরা। হবে আলোচনা সভা।

আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবসে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণীতে বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের ক্রীড়াঙ্গন আরও এগিয়ে যাবে ও আন্তর্জাতিক পরিসরে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনবে। খেলাধুলা আমাদের জীবনযাপনের একটি অংশ। খেলাধুলা চিত্তবিনোদনের মাধ্যম হিসেবে শিশু ও তরুণদের মেধা ও মননের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এর মাধ্যমে সৃষ্টি হয় প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব, শৃঙ্খলাবোধ, অধ্যবসায়, দায়িত্বজ্ঞান ও কর্তব্যপরায়ণতা। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলাধুলা দেশের পরিচিতি ও সম্মান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। দেশের মানুষের মধ্যে ঐক্য, সংহতি ও দেশপ্রেম জাগ্রত করে। বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরিতে খেলাধুলা সহায়ক ভূমিকা রাখে। বর্তমানে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন খেলাধুলায় সাফল্য অর্জন করেছে। বিভিন্ন বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায়ও বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা সাফল্য বয়ে আনছে। তাই একটি উদীয়মান দেশ হিসেবে বাংলাদেশে খেলাধুলার প্রসার ও মানোন্নয়নে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস পালন অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। বর্তমান সরকার দেশের খেলাধুলার মানোন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। জেলা থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায়েও গড়ে তোলা হচ্ছে ক্রীড়া অবকাঠামো। ফলে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে জাগরণের সৃষ্টি হয়েছে।’

‘খেলাধুলা একটি শিল্প। খেলাধুলার মূল কথাই হলো প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব সৃষ্টি করা। সুস্থ-সবল দেহ-মন, দেশ ও জাতির প্রতি ভালোবাসা তৈরিতে খেলাধুলা অপরিহার্য। খেলাধুলা শৃঙ্খলাবোধ, অধ্যবসায়, দায়িত্বজ্ঞান, কর্তব্যপরায়ণতা ও সহনশীলতার শিক্ষা দেয়’Ñ বাণীতে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, খেলাধুলা সাংস্কৃতিক বিকাশকে ত্বরান্বিত করে। অপরাধ প্রবণতা কমায়, যুবসমাজকে বিপথগামী হওয়া থেকে রক্ষা করে। মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে রাখে। খেলাধুলাকে অগ্রাধিকার দিয়ে গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত বিভিন্ন ক্রীড়া অবকাঠামো নির্মাণ করেছি। উপজেলা পর্যায়ে স্টেডিয়াম নির্মাণ, অবকাঠামো উন্নয়নসহ উন্নত প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি। বর্তমান সরকার শিক্ষা ও ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া সরঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন হচ্ছে।