তরুনদের ফুরোমন জয়

1680
Advertisement

॥ দীপ্ত হান্নান॥ বয়সে সবাই ঠগবগে তরুন। ফুরোমনকে জয় করার অদম্য ইচ্ছে। সকাল হতে না হতেই স্টার্টিং পয়েন্টে হাজির পুরো প্রস্তুতি নিয়ে। এদের অনেকেই পাহাড়ে উঠেনি কখনও। পাহাড়ে জন্ম বলে কারও কারও একটু-আধটু অভ্যাস আছে পাহাড়ে উঠার। তাতে কি, দিনশেষে হেসেছে রাঙ্গামাটির সবচেয়ে বড় পাহাড় ফুরোমন জয় করে। ক্লান্তি-অবসাদ, অনাগ্রহ কোন কিছুই দমাতে পারেনি তাদের। শুধু তারা নয়, আগ্রহ-উচ্ছাস দমাতে না পেরে অনেকেই সঙ্গী হয়েছেন এ দলটির সাথে।

শুক্রবার সকালে সাপছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে শুরু ফুরোমন ট্রেকিং এক্সপিডিশন। উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান তরুন কান্তি ঘোষ, সদস্য আশীষ কুমার বড়ুয়া, সদস্য পরিকল্পনা ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল রেদওয়ান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী প্রমূখ।

রাঙ্গামাটির সবচেয়ে উচু পাহাড় ফুরোমন ও পার্বত্যাঞ্চলকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষনীয় করে তুলতে ফুরোমন ট্রেকিং এক্সপিডিশনের যাত্রা।  পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের যৌথ উদ্যোগ ও রাঙ্গামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ফুরোমন ট্রেকিং এক্সপিডিশন আয়োজন করা হয়েছে।

আয়োজকদের মতে, স্টার্টিং পয়েন্ট থেকে ক্লোজিং পয়েন্ট পযন্ত সবমিলিয়ে প্রায় ১১.১১ ‍কিঃঃমিঃ পথ পাড়ি দিতে সময় লেগেছে ৪ ঘন্টা ৩২ মিনিট। এর মধ্যে পাহাড়ে উঠতে সময় লাগে ২ ঘন্টা ২৭ মিনিট আর নামতে সময় লাগে মা্ত্র ৪০থেকে ৪৫ মিনিট।

পরে শুক্রবার বিকেলে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্ণফুলি হল রুমে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সার্টিফিকেট তুলে দেন  পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা।