
: দীপ্ত হান্নান : চাকুরী জীবনে রাঙামাটিকে টার্নিং পয়েন্ট উল্লেখ করে বিদায়ী পুলিশ সুপার অালমগীর কবীর বলেছেন, রাঙামাটিকে যতটা দিতে পেরেছি, তার চেয়ে বেশি পেয়েছি। নানারকম সুখ স্মৃতি নিয়ে পরবর্তী কর্মস্থলে যাচ্ছি, কিন্তু রাঙামাটি অামার মনের গহীনে যত্ন ভালোবাসায় একেবারে অালাদা স্থান নিয়ে থাকবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার অায়োজনে নিজেদের সম্মেলন কক্ষে সংস্থার সহ সভাপতি ও পুলিশ সুপার মোঃ অালমগীর কবীর এর বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অাবেগে অাপ্লুত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এসপি অালমগীর কবীর বলেন, অনেক বড় বড় জেলায় কাজ করার সুযোগ হয়েছে অামার। কিন্তু রাঙামাটিতে কাজ করার অানন্দই অালাদা। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য মুগ্ধতা ছড়ায়। এখানকার বাসিন্দাদের খুব অাপন মনে হয়। চাকুরী জীবনে রাঙামাটিই একমাত্র কর্মস্থল, যেখান থেকে পদোন্নতির জন্য তদবির করতে হয়নি, বরঞ্চ উর্ধতন কর্তৃপক্ষ অামার কর্ম দক্ষতা বিবেচনায় অারো বড় পরিসরে কাজ করার জন্য পুরস্কার স্বরুপ বড় পদে পদায়ন করেছেন। এজন্যই রাঙামাটি অামার কাছে টার্নিং পয়েন্ট। এজন্যই রাঙামাটিকে মনে রাখব অাজীবন।
তিনি বলেন, নান্দনিক সৌন্দর্য্যের এ জেলাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। কিছু পুরণ করতে পেরেছি, কিছু পারিনি। তবে, চেষ্টার কমতি থাকবে না। এখানকার সুবলং, অারশীনগর, জীবতলী ও পলওয়েল পার্ক নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের বড় পরিকল্পনা রয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে, এ জেলার চেহারাই পাল্টে যাবে। তাছাড়া, অামরা জুরিখ লেকের গুনগান করি, যদি কাপ্তাই লেককে ঘিরে পর্যটন বান্ধব পরিকল্পনা হাতে নেয়া যায়, জুরিখ ছেড়ে কাপ্তাই লেকের গুনগানে ব্যস্ত থাকবে পর্যটকরা।
এসপি বলেন, জেলার ক্রীড়াঙ্গনকে সচল রাখতে সর্বোচ্চ দেয়ার চেষ্টা করেছি। কোভিড এর কারণে খেলাধুলার ধারাবাহিকতা রাখতে পারিনি, রাখতে পারলে ভালো লাগতো। তবে, ডিএসএ,র কর্মকর্তারা খেলাধুলা পরিচালনার জন্য খুব অান্তরিক। এ অান্তরিকতা ধরে রেখে ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। অামার সহযোগিতা সবসময় অাপনাদের পাশে থাকবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদ বলেন, পুলিশ সুপারের বিদায়ে অামারও খারাপ লাগছে। অামরা সবসময় একে অপরের সহযোগিতা, পরামর্শ নিয়ে কাজ করেছি। অামাদের দুজনের মধ্যে ভাল টিমওয়ার্ক ছিল, ভাল কম্বিনেশন ছিল। অামাদের চিন্তা ভাবনায় অদ্ভুদ মিল থাকায়, এ শহরকে যতটুকু পেরেছি পর্যটন বান্ধব শহর হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। অাজকে তিনি পদোন্নতি পেয়ে বড় জায়গায় যাচ্ছেন, সেখানে থেকেও রাঙামাটির জন্য অনেক কিছু করার সুযোগ তাঁর রয়েছে। অাশা করি তিনি রাঙামাটির জন্য ভবিষ্যতেও অারো বেশি কিছু করবেন।
এদিকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার অন্যান্য কর্মকর্তারা বিদায়ী পুলিশ সুপারের পরবর্তী জীবনের উন্নতি, সফলতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বলেন, এ শহরের পর্যটন খাত, শান্তি সম্প্রীতির মেলবন্ধন এবং স্থিতিশীল অাইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে অাপনার অবদান রাঙামাটিবাসী অাজীবন মনে রাখবে। অাপনার সৃজনশীলতার হাত ধরে এ শহরের বদলে যাওয়া গল্প সত্যই প্রশংসনীয়।
বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদ এর সভাপতিত্বে ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি অ্যাড.মামুনুর রশিদ মামুনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মামুন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি বরুন দেওয়ান, সাধারন সম্পাদক শফিউল অাজম, সদর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোঃ হান্নান, জেলা ক্রীড়া অফিসার স্বপন কিশোর চাকমা, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ঝিনুক ত্রিপুরা, মনোয়ারা জাহান, নাছির উদ্দিন সোহেল।
অনুষ্ঠানে জেলা ক্রীড়া সংস্থার অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।