
: স্পোর্টস ডেস্ক : আর ১৪৪ দিন পর তেল সমৃদ্ধ দেশ কাতারে গড়াবে গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসর। আগামী ২১ নভেম্বর উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় মুখোমুখি হবে সেনেগাল ও নেদারল্যান্ডস। আর ১৮ ডিসেম্বর লুসাইল স্টেডিয়ামে শীর্ষ দুই দলের ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে ৩২ দলের এ মহারণের। ঐদিনই বিশ্বকাপের ফাইনালের মঞ্চে তুলে দেয়া হবে ২০২৬ বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডার প্রতিনিধির হাতে বিশ্বকাপের একটি রেপ্লিকা ট্রফি।
এবারই প্রথম মরুভূমির দেশে বসছে বিশ্বকাপের আসর। যেখানের ঐ সময়ের আবহাওয়ায় থাকবে কাঠফাটা রোদ। রোদের তেজ এতটাই বেশি থাকে যে রাস্তাতে হাঁটাটা কষ্টদায়ক হয়ে পড়ে। আর এমন একটি জায়গাতেই মেসি-নেইমার-রোনালদোরা লড়বেন বিশ্বজয়ের জন্য।
বিশ্বকাপের সময়টা কাতারের আবহাওয়ার কারণে ফুটবলারদের জন্য ম্যাচ খেলাটা বেশ কষ্টের হবে। বিশেষ করে শীত প্রধান দেশ থেকে আসা খেলোয়াড়রা পড়বেন বেশ বিপাকে। এদিকে আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে খুব একটা সময় পাবেন না তারা। এর মধ্যেই তৈরি হতে হবে মেসি-নেইমারদের।
কোনও কোনও বিশেষজ্ঞরা বলছেন ম্যাচ প্রতি ৩ লিটার করে ঘাম ঝরতে পারে একজন ফুটবলারের। সে হিসেবে যদি আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল ফাইনালে যায় তাহলে মেসি-নেইমারদের ঘাম ঝরবে ২১ লিটার। এটা শুধু ম্যাচের হিসেব, এর বাইরে অনুশীলনের কথা বাদেই রাখা ভালো।
ইউরোপের দেশগুলোর তুলনায় মেসি-নেইমারদের দেশে গরম একটু বেশি। তাই ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা খেলোয়াড়রা তুলনামূলক সহজে কাতারে খাপ খাওয়াতে পারবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
কাতার বিশ্বকাপ শুধু বল পায়ে লড়াই নয় আবহাওয়ার সঙ্গেও লড়াইয়ের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে ফুটবলারদের। অন্তত চিকিৎসকরা সেই উপদেশই দিচ্ছেন। মানসিক ও শারীরিক দু’ভাবেই ফুটবলের গ্রেটেস্ট শো এর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
দীর্ঘদিন পর বিশ্বকাপ হওয়ায় সারাবিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি মানুষের দৃষ্টি থাকবে এই আসরের দিকে। এ সময়টাতে ফুটবলাররাও মরিয়া হয়ে উঠেন নিজেদের সেরা প্রমাণের জন্য। হাফ টাইমের বিরতি ও পানি পানের বিরতির মধ্যেই খেলোয়াড়রা নিজেদের তরতাজা করতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।