
: স্পোর্টস রিপোর্টার : গেল বছরের আগস্টে বাফুফের এলিট একাডেমিতে শুরু হয়েছিল যাত্রা। প্রায় এগারো মাস নিজেদের গড়েছেন তানভীর-পিয়াস-মঈনরা। ভারতের ভুবনেশ্বর কালিঙ্গা স্টেডিয়ামে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ এ সোমবার (২৫ জুলাই) দলকে জয় উপহার দিয়ে সে পরিশ্রমের প্রমাণ দিয়েছেন তানভীররা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে আধিপত্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু যোগ্য ফিনিশারের অভাবে বেশ কিছু সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। অন্তত গোটা চারেক সুযোগ নষ্ট করেন বসুন্ধরা কিংসের স্ট্রাইকার পিয়াস আহমেদ। কখনো বক্সে ঢুকে শ্রীলঙ্কার গোলরক্ষক শেনবানুকা ক্রুসের গায়ে মেরেছেন। কখনো পিয়াসের হেড গেছে পোস্ট ঘেঁষে মাঠের বাইরে।
অথচ বাংলাদেশ প্রথম গোলের দেখা পেতে পারত ম্যাচের প্রথম মিনিটেই। সাইড লাইন থেকে শাহিনের করা লম্বা থ্রো ডি বক্সের ভেতরে পাঠালেও হেড দিয়ে জাল ভেদ করতে পারেননি বাংলাদেশের ফুটবলাররা। দারুণ দক্ষতায় বল ঠেকিয়ে দেন লঙ্কান গোলকিপার। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় ম্যাচের ২০ মিনিটে। এবার কর্ণারের সাহায্যে কোনো রকম বল ঠেকিয়ে দেন লঙ্কান রক্ষণভাগের ফুটবলার।
পরের মিনিটে কর্নার থেকে বল টেনে এনে ডি বক্সের বাইরে থেকে দৃষ্টিনন্দন শট নেন রফিকুল। ম্যাচে বেশ কয়েকবার এমন দারুণ সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশ। বার বার আক্রমণে গিয়েও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য যখন পাচ্ছিল না লাল সবুজের প্রতিনিধিরা তখন দ্বিতীয়ার্ধে মিরাজুলকে বদলি হিসেবে মাঠে নামান কোচ পল স্মলি। শেষ পর্যন্ত তার পা থেকেই আসে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।
ম্যাচের ৭১ মিনিটে বক্সের মধ্যে থাকা শাহিন মিয়ার পাস ডি বক্সের বাম প্রান্ত থাকা মিরাজুল দখলে নিয়ে দেখেশুনে ঠান্ডা মাথায় শট নেন। শ্রীলঙ্কার গোলরক্ষক শেনবানুকা বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। এরপরও বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। শেষ পর্যন্ত মিরাজুলের করা সে গোল নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে। আগামী ২৭ জুলাই প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় ম্যাচে তানভীরদের প্রতিপক্ষ ভারত।