
:স্পোর্টস রিপোর্টার : নানিয়ারচরের মেয়ে চৌসাউ রোয়াজা চুয়ার বড় ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বিকেএসপিতে পা রাখা। কিন্তু বাধ সাধে আর্থিক দৈন্যতা। বাবা দিনমজুর, দিনে এনে দিনে খাওয়া মানুষ। বিকেএসপিতে ১ম বর্ষে পড়–য়া চৌসাউ চোখেমুখে ভর করে শংকা এবং দিশেহারা হয়ে উঠে ভবিষ্যত স্বপ্ন ।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিওতে উঠে আসে আর্থিক দৈন্যতায় চৌসাউ,র স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়ার গল্প।
সেই স্বপ্নভঙ্গের গল্পটি রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানের মনে দাগ কাটে। ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রদান শিক্ষক চন্দ্র দেওয়ানের মাধ্যমে খবর নেন তিনি। ক্রীড়াবান্ধব জেলা প্রশাসক সম্ভাবনাময় খেলোয়াড় চৌসাউ রোয়াজার স্বপ্নকে এগিয়ে নিতে পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দ্রা দেওয়ান তার ভেরিফাইড ফেসবুকে জানান, চৌসাউ রোয়াজার ভিডিও ডিসি স্যারেরও চোখে পড়েছে। সাথে সাথে ডিসি স্যার আমাকে ফোন দিয়ে বলেছেন চুয়া কে নিয়ে অফিসে যেতে। আজ বুধবার চুয়া কে নিয়ে গেলাম স্যারের অফিসে। স্যার চুয়ার কথাগুলো শুনলেন এবং তার পড়াশোনা আর খেলাধুলার যাতে ব্যাঘাত না ঘটে চুয়ার জন্য ত্রিশ হাজার টাকা দিয়েছেন।
চন্দ্রা দেওয়ান জেলা প্রশাসকের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লিখলেন, কি বলে যে ডিসি স্যার কে কৃতজ্ঞতা জানাবো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। এছাড়াও স্যারের কাছে যখনই স্কুলের খেলোয়াড়দের নানান সমস্যা বা চাহিদা নিয়ে গেছি স্যার কোনদিন খালি হাতে ফিরিয়ে দেন নি। সবসময়ই ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড়দের পাশে থেকেছেন।
সম্ভাবনাময় ফুটবলার চৌসাউ রোয়াজা চুয়ার নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের পুলিপাড়া গ্রামে জন্ম। ছিলেন ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও খেলোয়াড়। পরে সে বিকেএসপি তে চান্স পেয়ে ১ম বর্ষে পড়ছে আর ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলছে।